ভিডিও

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি; প্রথম অংশ

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি; দ্বিতীয় অংশ

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি; তৃতীয় অংশ

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি; চতুর্থ অংশ

প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের প্রশ্ন ও উত্তর

পরিবার পরিকল্পনা

একটি মেয়ের ২০ বছর বয়সের পর বাচ্চা নেয়া মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যদি এ বয়সের আগে কোনো মেয়ে গর্ভবতী হয়, তবে তার নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কারণ এ সময়ে মেয়েদের কোমরের হাড় পুরোপুরি বাড়ে না, তাই গর্ভবতী হলে পেটের বাচ্চা বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট জায়গা পায় না। ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়, আর এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে। অল্প বয়সে প্রসব বা ডেলিভারির রাস্তাটি ছোট থাকে তাই বাচ্চা হওয়ার সময় অতিরিক্ত চাপের ফলে এ রাস্তা ছিঁড়ে যায়, অনেক সময় বাচ্চা বের হতেও অনেক কষ্ট হয়। এ বয়সে মা হলে মা ও সন্তানের মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়া অল্প বয়সে ছেলেরা ও মেয়েরা মানসিকভাবে পুরোপুরি বড় হয় না। বাচ্চা যত্ন ও লালন-পালন করতে হয়, কীভাবে বাচ্চা বড় করে তুলতে হয় তা অল্পবয়সি মেয়েরা তেমন বুঝতে পারে না। আর অল্পবয়সি ছেলেদের বাবা হবার মতো দায়িত্ববোধ ও সামর্থ্য তৈরি হয় না। এখানে একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে, প্রথম যৌনমিলনেও পেটে বাচ্চা আসতে পারে। বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী বিয়ের শুরুতেই বাচ্চা নেয়ার কথা ভাবে না। প্রথমে তারা পরস্পরকে জানতে চায়, বুঝতে চায়, কিছুটা প্রস্তুতি নিতে চায়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে না জানার কারণে এবং কোনো পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণে অনেক দম্পতির ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পরপরই গর্ভধারণ করে। তাই, শুরুতেই বাচ্চা নিতে না চাইলে প্রথম রাত থেকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে, প্রথম রাত থেকেই কনডম ব্যবহার করতে হবে এবং পরবর্তীতে স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে পরামর্শ করে যেকোনো পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রযোজন। কনডম নবদম্পতিদের জন্য একটি উপযুক্ত পদ্ধতি।

অন্যান্য

বয়: সন্ধি

অনেক কারণে তোমাদের দুর্বল লাগতে পারে। এর মধ্যে রক্তস্বল্পতা, অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগ অন্যতম। পরিমিত পরিমাণে ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, বিশ্রাম নেয়া ও ব্যায়াম করার পরেও অসুস্থ বা দুর্বল লাগলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কৈশোরে শরীরের যথাযথ বৃদ্ধি ও সুস্থ খাবারের জন্য পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি সঞ্চয় করে। পুষ্টি হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ করা থেকে শুরু করে খাদ্য পরিপাক ও শোষিত হয় অর্থাৎ পুষ্টি বলতে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলাফলকে বোঝায়।
আরও...