কৃমি একধরনের পরজীবি যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শরীরে অবস্থান করে পুষ্টি শোষন করে। এই পরজীবি নানাবিধ শারিরীক সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি শিশুদের মাঝে মারাত্মক অপুষ্টি তৈরি করে। সাধারণত মাটি ও খাদ্য হতে সংক্রমণের মাধ্যমে (STH - Soil Transmitted Helminths) কৃমি মানব শরীরে প্রবেশ করে।
কৃমির সংক্রমণ বাংলাদেশে একটি মারাত্বক স্বাস্থ্য সমস্যাযা শিশু অপুষ্টির নানাবিধ কারণের মধ্যে অন্যতম।
কৃমি যেভাবে পুষ্টিহীনতা ঘটায়:
১. খাবার হজম ও পুষ্টিকণা শোষনে বাধা দেয়
২. এছাড়াও কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষন করে ও রক্তক্ষরণ ঘটায়
৩. অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে
৪. বমি এবং ডায়রিয়ার কারণে পুষ্টির অপচয় ঘটায়
ফলে শিশুরা আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা, ডায়রিয়া, অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয় যা শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত করে। সেই সাথে পড়ালেখা, স্কুলে যাওয়া ও খেলাধূলার আগ্রহ কমে যায়। শিশুদের মতো প্রাপ্তবয়স্কদেরও কৃমির সংক্রমণ হওয়ার একই রকম ঝুঁকি রয়েছে। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদেরও কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং গর্ভাবস্থায় অপুষ্টির কারণে কম ওজনের শিশু জন্মসহ মা ও শিশুর বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের এই লক্ষণ খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে Albendazole একটি কার্যকর এবং নিরাপদ কৃমিনাশক ঔষধ (যেমন এসএমসি’ র ভারমিসিড ট্যাবলেট, এতে রয়েছে ৪০০ মি. গ্রা. Albendazole)। কৃমির চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে পরিবারের সকলেরই কাঙ্খিত মাত্রার ঔষধ সেবন নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃমির ক্ষতিকর প্রভাব দূর করা সম্ভব।