যক্ষা রোগ ও প্রতিরোধ

যক্ষা কি?

যক্ষা একটি জীবানুঘটিত (ব্যাকটেরিয়া) রোগ যা মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (বা যক্ষা জীবানু) নামক একপ্রকার জীবানু দিয়ে হয়ে থাকে। যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তির কফ, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবানু বাতাসে মিশে ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে ঢুকে বংশ বৃদ্ধি করে।

যক্ষা সনাক্তকরণ:

শুধুমাত্র দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে কাশি থাকলে কোন ব্যক্তিকে যক্ষা রোগী বলে সন্দেহ করতে হবে এবং তাকে অবিলম্বে কফ্ পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণের জন্য নিকটস্থ উপজেলা হাসপাতাল বা বক্ষব্যধি ক্লিনিকে অথবা নির্দ্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিক বা ব্লু-স্টার কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে।

যক্ষা রোগ প্রতিরোধ:

কোন ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে :-
• হাঁচি-কাশি থেকে অন্যের এই রোগ হয় বলে যক্ষা রোগীকে সবার সামনে হাঁচি-কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
• কাপড়ে বা রুমালে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে
• রোগের সাম্ভাব্য লক্ষণ প্রকাশ অবিলম্বে কফ্ পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণের জন্য নিকটস্থ উপজেলা হাসপাতাল বা বক্ষব্যধি ক্লিনিকে অথবা নির্দ্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিক বা ব্লু-স্টার কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে
• রোগ সনাক্ত হলে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা এবং পূর্ণ মেয়াদে, সঠিক মাত্রায়, নিয়মিত ও ক্রমাগতভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে
• রোগীর কফ্, থুথু নির্দ্দিষ্ট পাত্রে ফেলা ও পরে তা পুতে/পুড়ে ফেলতে হবে
• ঘরের ভেতরে আলো-বাতাস থাকলে যক্ষার বিস্তার কমে যায়, তাই বদ্ধ ঘরে যক্ষা রোগীকে না রেখে মুক্ত আলো-বাতাস আসে এমন খোলামেলা ঘরে রাখতে হবে
• সরাসরি সূর্যের আলোতে যক্ষার জীবানু তাড়াতাড়ি ধংস হয়ে যায়, অন্ধকার ও বদ্ধঘরে এ জীবানু কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকে। তাই রোগীর ব্যবহৃত জিনিস (গামছা, রুমাল, বালিশ ইত্যাদি যেসব জিনিসে হাঁচি কাশির মাধ্যমে জীবানু লেগে থাকতে পারে) সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নেয়া ভালো
• পরিবারের একজন রোগী হলে এবং পরিবারের অন্যদের যক্ষা রোগের লক্ষণ থাকলে তাদের কফ্ পরীক্ষা করতে হবে
• জন্মের পর পরই শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হবে


বিঃদ্রঃ একনাগাড়ে ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে পরামর্শের জন্য অবিলম্বে আপনার নিকটস্থ ব্লু-স্টার কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন