যৌন অক্ষমতা

স্ত্রী সহবাসের সময় একজন পুরুষের লিঙ্গ যদি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে শক্ত ও খাড়া না হয় তাহলে তাকে যৌন অক্ষম বা পুরুষত্বহীন বলা হয়। কেউ কেউ জন্মগতভাবে যৌন অক্ষম হতে পারে। যৌন অক্ষমতা দুই রকম হতে পারে- স্থায়ী ও সাময়িক। কেউ কেউ স্থায়ীভাবে যৌন অক্ষম হতে পারে। এছাড়া কোনো কোনো সময় বিভিন্ন মানসিক সমস্যার কারণে সাময়িক যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। যেমন- যৌন বিষয়ে অজ্ঞতা, ভয়, দুর্ভাবনা, হতাশা, কাজের চাপ ইত্যাদি। মাদকাসক্তি এবং ডায়াবেটিসের কারণেও একজন পুরুষ সাময়িকভাবে যৌন অক্ষম হতে পারে। কোনো কোনো সময় মেয়েদের মধ্যেও যৌন অক্ষমতা, যৌনসম্পর্কের প্রতি অনীহা বা কামশীতলতা দেখা যায়। এর কারণও অনেক রকম হতে পারে। দৈহিক কারণ ছাড়া মানসিক কারণেও (যেমন: ভুল-বোঝাবুঝি ও মনের অমিল) এ রকম সমস্যা হতে পারে। পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যা হলে নিরাশ না হয়ে প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে হাতুড়ে ডাক্তার, হকার বা কবিরাজের পরামর্শ নেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং এতে বিপদ বাড়তে পারে।
যৌন অক্ষমতা দূর করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। যদি কেউ এ সমস্যায় ভোগে তবে তাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে হাতুড়ে ডাক্তার, হকার বা কবিরাজের পরামর্শ নেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বরং এতে বিপদ বাড়তে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে নতুন বিয়ের পর অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নার্ভাস হওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হতে পারে। এ অবস্থায় কিছু দিন চলতে থাকলে স্বামী নিজেকে বা স্ত্রী স্বামীকে যৌন অক্ষম ভাবতে পারে এবং বিবাহিত জীবনে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হতে পারে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুজনের আন্তরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার মাধ্যমে সহজেই এর সমাধান সম্ভব। মেয়েদেরও যৌনবিষয়ক কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন- সহবাস ভীতি, মানসিক বা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে সহবাসের সময় মেয়েরা ব্যথা পেতে পারে এবং এর কারণে বিষয়টি সহজভাবে গ্রহণ করতে নাও পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সমঝোতা ও আন্তরিক ভালোবাসা। তবে সমস্যা চলতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেয়া উচিত। এর ফলে সুস্থ ও স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপন এবং সন্তান লাভ করা যায়।
কারো যদি মনে হয় সে যৌন অক্ষম তবে বিয়ে করার আগে পাশ করা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে তার খোলাখুলি পরামর্শ করে নেয়া উচিত। কারণ ডাক্তারের পরীক্ষা ছাড়া যৌন অক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই ক্যানভাসার বা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য যাওয়া উচিত নয়।
খুব কম ক্ষেত্রেই এরকম হয়ে থাকে। যৌনমিলন করতে গিয়ে যদি কোনো পুরুষ অনুমান করে যে, সে যৌন অক্ষম, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে এ অক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। নিজের ধারণা বা অনুমান সত্যি নাও হতে পারে।
যৌন অক্ষম হলে অনেক সময় ডাক্তারের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া যায়। সুস্থ হবার পর স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন করা যায় এবং বাবা হতেও কোনো অসুবিধা হয় না।