প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ/যৌনবাহিত রোগ
প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ সংজ্ঞা বলতে প্রজনন তন্ত্রের যে কোন সংক্রমণকে বোঝনো হয়। প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমনের আওতায় মূলত তিনটি বিষয় রয়েছে:
১ । যৌন বাহিত রোগ (STD)
২ । প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ (Endogenous infection) যা প্রজননতন্ত্রে সংগঠিত হয়, কিন্তু যৌনবাহিত নয়। যেমন ক্যানডিডিয়াসিস এবং ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিওনোসিস ।
৩ । আয়াট্রোজেনিক (Iatrogenic) সংক্রমন-যা চিকিৎসাকর্মীদের অসর্তকতার কারণে হয়ে থাকে। যেমন-নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করলে ।
প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের কারণসমূহ
১. স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যৌন মিলন না করলে ।
২. মাসিকের সময় অপরিস্কার কাপড় ব্যবহার করলে তা থেকে সংক্রমণ হতে পারে ।
৩. জীবাণুমুক্ত পরিবেশে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে প্রসব কার্য সম্পন্ন না হলে এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ।
৪. গর্ভপাত করানোর সময় যদি যন্ত্রপাতি জীবাণু মুক্তকরণ না হয় ।
৫. আইইউডি স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এবং জীবাণুমুক্ত উপায়ে পরানো না হলে সংক্রমণ ঘটতে পারে ।
৬. মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) স্বাস্থ্যসম্মত এবং সঠিকভাবে জীবাণু মুক্ত না করলে।
৭. যোনিপথে কোনো প্রকার আঘাত লাগলে বা যোনিপথে কোন প্রকার অস্বাস্থ্যসম্মত অস্রোপাচারের ফলে ।
বাংলাদেশে মহিলাদের প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের হার বেশি । কারণ মহিলার এ রোগ সম্পর্কে বলতে লজ্জা পায় এবং চিকিৎসা নিতে দ্বিধা বোধ করে । একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের দেশের প্রজনন বয়সী বিবাহিতা মহিলাদের শতকরা ২১.৯ - ৩২.৯ জন প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগ ভুগছেন।