প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ/যৌনবাহিত রোগ
প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ সংজ্ঞা বলতে প্রজনন তন্ত্রের যে কোন সংক্রমণকে বোঝনো হয়। প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমনের আওতায় মূলত তিনটি বিষয় রয়েছে:
১ । যৌন বাহিত রোগ (STD)
২ । প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ (Endogenous infection) যা প্রজননতন্ত্রে সংগঠিত হয়, কিন্তু যৌনবাহিত নয়। যেমন ক্যানডিডিয়াসিস এবং ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিওনোসিস ।
৩ । আয়াট্রোজেনিক (Iatrogenic) সংক্রমন-যা চিকিৎসাকর্মীদের অসর্তকতার কারণে হয়ে থাকে। যেমন-নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করলে ।
প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের কারণসমূহ
১. স্বাস্থ্যসম্মতভাবে…
ট্রেপোনেমা পেলিডাম (Treponema pahdum) নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। যৌন মিলনের সময় এ জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ সৃষ্টি করে। এই রোগের উপসর্গ সুপ্তকাল ৯-৯০ দিন । তবে সাধারণত ১৪ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায়।
১.প্রাথমিক পর্যায়:
এই স্তর সবচেয়ে ছোঁয়াচে। যৌনাঙ্গে এক বা একাধিক ব্যথাহীন মাঝারি আকৃতি ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের লসিকা গ্রন্থিগুলো…
এটা নাইসেরিয়া গনোরিয়া (Nersserra gonorrhoea) নামক একটা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত একটি যৌনবাহিত রোগ । সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে ।
লক্ষণ ও উপসর্গ
পুরুষের ক্ষেত্রে
তাৎক্ষণিক
বিলম্বে
হেপাটাইটিস–বি ভাইরাসজনিত জন্ডিস (Hepatitis B Virus Jaundice)
সাধারণত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে হেপাটাইটিস–বি ভাইরাস দ্বারা এ রোগটি হয় । প্রধানত যকৃতের ওপর এর ক্ষতিকারক দিকটি সবচেয়ে বেশি। ফলে জন্ডিস দেখা দেয়। রোগের সুপ্তিকাল ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস। বেশিভাগ রোগীই আপনা-আপনি ভাল হয়ে যায়। তবে ৫-১৫% রোগী ভালো হয় না। এবং এদের শরীরে ভাইরাসটি থেকে যায় এবং রোগ ছড়াতে পারে। অনেকদিন রোগে ভোগার পর রোগীর লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের মত জটিলতা…
মনিলিয়াসিস (Moniliasis) / ক্যানডিডিয়াসিস (Candidiasis) বা ইস্ট
যোনিতে স্বাভাবিকভাবে ক্যানডিডিয়াসিস দেখা দেয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, বহুমূত্র রোগ ও এন্টিবায়েটিক গ্রহণের ফলে এসব জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে । এর ফলে যোনির ভিতরে এবং বাহির জ্বালা যন্ত্রণা এবং চুলকানি দেখা দেয়। কখনও কখনও যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে মনিলিয়াসিস ছড়াতে পারে। তবে এ ধরনের ঘটনা বিরল।
লক্ষণ
ট্রাইকোমনিয়াসিস (Trichomonasis)
ট্রাইকোমনিয়াসিস মহিলাদের যোনির প্রদাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং ব্যাপকভাবে সংক্রমিত রোগসমূহের একটি। ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদের যারা যোনিপথের সাদা স্রাবের অভিযোগ করেন তাদের ভিতর অধিকাংশই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ট্রাইকোমনিয়াসিস ‘ট্রাইকোমনিয়াসিস’ নামক এক ধরনের পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে।
কারণসমূহ
তলপেটে প্রদাহ (Pelvic Inflammatory Diseases) হলে স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের ভিতরের অঙ্গের সংক্রমণ । সাধারণত এতে জরায়ু, ডিম্ববাহী নালি, ডিম্বকোষ ও পার্শ্ববর্তী পেলভিক টিস্যুগুলো আক্রান্ত হয় । এসব টিস্যুতে জ্বালা-যন্ত্রণা, প্রদাহ ও স্ফীতি দেখা যায় । বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু দ্বারা তলপেটে প্রদাহ (PID) হতে পারে । তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি গনোরিয়া এবং ক্ল্যামেডিয়ার মতো ।
লক্ষণ ও উপসর্গ
ক্ল্যামেডিয়া সংক্রমণ (Chlamydia Intection)
এটি অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ বিশেষ করে গনোরিয়ার সাথে এক সঙ্গে দেখা যায়। ক্ল্যামেডিয়া নামক জীবাণু দ্বারা এটি সংক্রমিত। ক্ল্যামেডিয়া যৌন মিলনের ফলে ছড়ায়। আক্রান্ত মা থেকে সদ্যজাত শিশুর দেহে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
লক্ষণ এবং উপসর্গ
হার্পিস জেনিটালিয়া (Herpes Genitalia)
হার্পিস সিমপ্লেক্স (Herpes Simplex) নামক একটি ভাইরাস থেকে এই রোগ হয় ।
লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ
উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন ।