শিশুর পুষ্টি

শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই শিশুর বয়স ৬ মাস বয়স পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি তাকে ঘরে তৈরী বাড়তি খাবার (ভাত, খিচুড়ী, সুজি ইত্যাদি) দিতে হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য শিশুকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি, ফল-মূল ইত্যাদি) পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে। আয়রনের অভাবে শিশু রক্তস্বল্পতায় ভোগে। রক্তস্বল্পতার ফলে শিশুর শারিরীক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এছাড়াও শিশুর ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, পড়া-লেখা ও খেলাধুলায় অমনোযোগী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই শিশুর ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি পূরণে ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে (মায়ের দুধের পাশাপাশি ) আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ অনুপুষ্টি পাউডার খাওয়াতে হবে।

৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের দৈনিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্ভাবিত ফর্মূলা অনুযায়ী এসএমসি মনিমিক্স তৈরী ও বাজারজাত করছে। শিশুর প্রতিদিনের খাবারের সাথে এই মনিমিক্স মিশিয়ে খাওয়ালে তার অতি প্রয়োজনীয় আয়রন, ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি জনিত অনুপুষ্টির অভাব পূরণ হয়।

নিয়ম মেনে অনুপুষ্টি পাউডার (মনিমিক্স) খাওয়ানোর উপকারিতা:

১. আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা দূর হয়
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
৩. ক্ষুধা বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়ায়
৪. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ হয়
৫. শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে
৬. শিশু পড়া-লেখা ও খেলাধুলায় মনোযোগী হয়

শিশুর বয়স ৬ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত প্রতিদিনের খাবারের সাথে অতি প্রয়োজনীয় আয়রন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ অনুপুষ্টি পাউডার মিশিয়ে নিয়ম মেনে খাওয়ালে শিশুর প্রয়োজনীয় আয়রন ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়।