গর্ভকালীন পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসেবা
গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তাই গর্ভকালীন সেবা । গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি না করে সমাজকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেয়া।
…নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা ও এর জন্য পরিকল্পনা
প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে কোনো মুহূর্তে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যদি অদক্ষ এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রসব করানো হয় তবে মা ও শিশু উভয়ের প্রসবকালীন সংক্রমণ এবং শিশুর টিটেনাস হতে পারে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেও এসময়ে যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসবের সময়ে যত্ন নেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে –
প্রসব পরবর্তী সেবা
প্রসবের পর মা ও শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, উপযুক্ত উপদেশ এবং ব্যবস্থাপনা দেয়াকে প্রসব পরবর্তী সেবা বলে। প্রসবের পরে একজন প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ, প্রসবের পর মায়ের জরায়ু ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাধারণত ৬ সপ্তাহ সময় লাগে। এই সময়কালকে পিউরপেরিয়াম (Pureperium) বলে। পিউরপেরিয়াম সময়ে মায়ের প্রসবোত্তর স্বাস্থ্যসেবা দেয়া প্রয়োজন।