যৌন নিপীড়ন কি

নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সের মানুষই যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। বেশিরভাগ সময়ে নারী ও শিশুরাই এর শিকার হয়ে থাকে। আমাদের জানতে হবে, যৌন নিপীড়ন বলতে আমরা কী বুঝি।

কোনো ব্যক্তি কারো দেহকে যখন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা প্রলোভনের দ্বারা নিজের যৌন বাসনা মেটানোর জন্য ব্যবহার করে, তখন সেটাকে বলা হয়ে থাকে যৌন নিপীড়ন। নারী পুরুষ যে কেউ যে কোনো সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। তবে শিশু, কম বয়সি ছেলে বা মেয়ে এই অবস্থার মুখোমুখি বেশি হয় । সাধারণত যৌন নিপীড়নকারীরা শিশু বা কম বয়সি ছেলেমেয়েদের ভয়, প্রলোভন, হুমকি দিয়ে এই ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে । অনেক সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অনেক ছেলেমেয়ে মানসিকভাবে কষ্ট পায়, আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং স্বাভাবিক হতে পারে না।

যৌন নিপীড়ন কত ভাবে হতে পারে?

বিভিন্নভাবে একজন মানুষ যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। যেমন-

ক. শারীরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা জোর করে
খ. লোভ দেখিয়ে বা কোনো ফাঁদে ফেলে অথবা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে
গ. কারো সরলতা বা অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে

যৌন নিপীড়নের হাত থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যেতে পারে?

অসচেতনতার জন্য যৌন নিপীড়নের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় না। নারী, শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের জানা প্রয়োজন যৌন নিপীড়নের হাত থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় ।

  • কখনো কোনো অচেনা (নারী বা পুরুষ) লোকের সাথে একা চলাফেরা না করা
  • কাউকে ভাল লাগলেই চট করে তার সাথে ভাব না করা
  • আগ বাড়িয়ে কেউ সাহায্য বা উপকার করতে এলে ভেবেচিন্তে তা গ্রহণ করা
  • সমবয়সি কিংবা বয়সে বড় বিপরীত লিঙ্গের নিকট আত্নীয়দের ব্যাপারে বিশেষভাবে সাবধান থাকা
  • যে কেউ, সে যত ঘনিষ্ঠ আত্নীয়ই হোক না কেন, শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠতা করতে চাইলে সাবধান হওয়া
  • কেউ যদি কোনো আপত্তিকর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে সে ক্ষেত্রে ‘না’ বলতে পারার দক্ষতা অর্জন ও সঠিক সময়ে প্রয়োগ করা।