শিশু-কিশোরের পুষ্টি

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অথবা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। যা শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং নানানরকম সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সাধারণত শরীরে আয়রনের অভাব হলে শিশুদের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, তবে শরীরে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি উপাদানের অভাবও এই রক্তস্বল্পতার জন্য দায়ী। রক্তস্বল্পতা এবং নানাপ্রকার অসুস্থতা থেকে রক্ষা করার জন্য শিশুকে নিয়মানুযায়ী ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ অনুপুষ্টি পাউডার খাওয়াতে হবে।

শিশুদের দৈনিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ভাবিত ফর্মূলা অনুযায়ী ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর জন্য অতি প্রয়োজনীয় আয়রন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ অনুপুষ্টি পাউডার (যেমন এসএমসি'র মনিমিক্স প্লাস) তৈরি করা হয়েছে । ১৫ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই মনিমিক্স প্লাস (অনুপুষ্টি পাউডার) ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিনের খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে।

নিয়ম মেনে অনুপুষ্টি পাউডার খাওয়ানোর উপকারিতা:

(১) রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ এবং প্রয়োজনীয় অনুপুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে;
(২) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;
(৩) ক্ষুধা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের পুষ্টি অবস্থার উন্নতি করে;
(৪) লেখাপড়া শেখার এবং কাজ করার সক্ষমতা বাড়ায়;
(৫) বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত নিয়ম মেনে মনিমিক্স প্লাস খাওয়ালে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি সে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে বেড়ে উঠবে ।

শিশুর বয়স ৫ বছর পূর্ণ হবার পর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়ম মেনে অনুপুষ্টি পাউডার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। একনাগাড়ে তিন মাস প্রতিদিন ১ টাকার মনিমিক্স প্লাস খাবে তারপর তিন মাস বিরতি দিয়ে আবারওএকই নিয়মে ৫ বছর পূর্ণ হবার পর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত মনিমিক্স প্লাস খাওয়ানো চালিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, একজন শিশু ১ বছরে মোট ১৮০টি অনুপুষ্টি পাউডার স্যাশে (প্যাকেট) খাবে।