খাবার বড়ি

মিশ্র খাবার বড়ি থেকে এখন পর্যন্ত কোন ক্যান্সার হবার কথা প্রমাণিত হয় নি। উপরন্তু এটা ২ ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে, যেমন- • ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার • এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার
খাবার বড়ি গ্রহণকালে কোন বিরতির প্রয়োজন নেই বরং হঠাৎ বিরতি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভের কারণ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবার বড়ি খাওয়ার পর কোন মহিলা গর্ভবতী হলে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের কোন সম্ভাবনা নেই। এমনকি কোন মহিলা যদি গর্ভবতী হবার পরও খাবার বড়ি খেয়ে থাকেন তবুও তাদের শিশু বিকলাঙ্গ হবার অথবা গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে না।
খাবার বড়ি কোন মহিলাকে অনুর্বর বা বন্ধ্যা করে না। প্রজননক্ষম মহিলা বড়ি খাওয়া বন্ধ করলেই গর্ভধারণে সক্ষম হবেন। তবে খাবার বড়ি খাওয়া বন্ধ করার পর গর্ভধারণের জন্য কিছু মহিলাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
অবশ্যই খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা নেই। বিধিনিষেধ না থাকলে সকল বয়সী মহিলার জন্য মাসিক বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার বড়ি একটি উপযুক্ত পদ্ধতি। তবে ৩৫ বছর কিংবা তারচেয়ে বেশি বয়সী মহিলা যারা ধূমপান করেন বা তামাকপাতা সেবন করেন তাদের জন্য অবশ্যই মিশ্র খাবার বড়ি নিষিদ্ধ।
যাদের সন্তান নেই এবং যাদের সন্তান আছে সবার জন্যই খাবার বড়ি খাওয়া নিরাপদ।
না, মহিলা গর্ভবতী নয় তা নিশ্চিত হবার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের মিশ্র বড়ি গ্রহীতা বাছাইকরণের চেকলিস্ট এর সঠিক ব্যবহারই এজন্য যথেষ্ট।
খাবার বড়ি মহিলাদের দুর্বল করে না। উপরন্তু, খাবার বড়ি খাওয়ার পর মহিলারা আরো শক্তসমর্থ হন, কেননা এটা তাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে। তার অন্যান্য কোন অসুবিধা থাকতে পারে যা তাকে দুর্বল করে। তার দুর্বলতার কারণে তিনি কোন ডাক্তার অথবা সেবা প্রদানকারী কর্মীর পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
৩৫ বছরের নিচে ধূমপায়ী বা তামাকপাতা/জর্দা সেবনকারী মহিলারা কেবলমাত্র স্বল্পমাত্রার মিশ্র খাবার বড়ি খেতে পারেন। ৩৫ বছরের বেশি বয়স্কা ধুমপায়ী বা তামাকপাতা/জর্দা সেবনকারী মহিলাদের অন্য কোন নন-হরমোনাল পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
যৌনস্পৃহা একেক জনের বেলায় একেক রকম। যৌনস্পৃহা নির্ভর করে মানসিক অবস্থার উপর। তবে কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে যৌনস্পৃহা কমে যাওয়ার তথ্যও বিদ্যমান।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাবার বড়ি অনিয়মিত মাসিক স্রাবকে নিয়মিত করে। খুব সামান্য ক্ষেত্রেই খাবার বড়ি খেয়ে মাসিক স্রাব বন্ধ হতে পারে, কিন্তু এর ফলে তলপেটে রক্ত জমা হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কয়েকমাস জুড়ে যখন মাসিক বন্ধ থাকে তখন যেমন তলপেটে কোন বদরক্ত জমা হয় না বা অসুবিধা হয় না, তেমনি খাবার বড়ির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় সম্পূর্ণ মাসিক বন্ধের সময়ও কোন প্রকার দূষিত রক্ত জমা হয় না বা অসুবিধা হয় না।
পেপটিক আলসার তৈরি করতে পারে এমন কোন উপাদান খাবার বড়িতে থাকে না। কাজেই খাবার বড়িতে পেপটিক আলসার হয় না।