কনডম

হ্যাঁ, যদি ব্যবহারকারী প্রত্যেকবার যৌনমিলনের সময় সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করেন। তবে কনডম সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হলে অথবা প্রতিবারই নতুন কনডম ব্যবহার না করলে কনডমের কার্যকারীতা অনেক কমে যায়।
কনডম এইচআইভি, এইডস সহ যৌনবাহিত সকল রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে যদি প্রতিবার যৌনমিলনের সময় সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করা যায়।
না, কনডম এইডস সহ সকল যৌনবাহিত রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করে। এইচআইভি ভাইরাস ল্যাটেক্স কনডমের ভিতর দিয়ে যেতে পারে না।
না, কখনোই নয়। সত্যিকার অর্থে কনডম লিঙ্গকে অধিকক্ষণ দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। পুরুষত্বহীনতার অনেক কারণ আছে। কিছু কারণ শারীরিক অ কিছু মানসিক। খুব কমসংখ্যক পুরুষ কনডম ব্যবহার করার ফলে লিঙ্গকে দৃঢ় রাখতে পারেন না এবং কনডম ব্যবহার করার কারণে বিব্রত অবস্থায় পড়েন। যদিও কনডম পুরুষত্বহীনতার কারণ নয়।
না। কেউ কনডম ব্যবহার করে কম আনন্দ পান, আবার কেউ কেউ আগের মতই বা আগের চেয়ে বেশি আনন্দ লাভ করেন। কারণ কনডম ব্যবহারে গর্ভবতী হওয়া বা যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার চিন্তা থাকে না। এছাড়াও যৌনমিলন ও বীর্যপাতের আগে আনন্দদায়ক সময়কে অধিকক্ষণ স্থায়ী করে।
কনডম গর্ভরোধ এবং অনেক যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে তথ্য প্রদান করে। নিজে সঙ্গীকে কনডম পরিয়ে দিয়ে।
অল্প কিছু ক্ষেত্রে যৌনমিলনের সময় কনডম ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করলে কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যৌনমিলনের পূর্বে রতিক্রিয়া যোনিপথকে সিক্ত করে, যা কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। কনডমের বাহিরের আবরণের পানি ভিত্তিক পিচ্ছিলকারক ব্যবহার এ ব্যাপারে সাহায্য করে। সতর্কতাঃ কখনোই তৈলভিত্তিক পিচ্ছিলকারক যেমন- পেট্রোলিয়াম জেলী, ত্বকের ক্রিম ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এরা ল্যাটেক্স রাবারকে তাড়াতাড়ি নষ্ট করে এবং এর ফলে কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হ্যাঁ। যৌনবাহিত সংক্রমণ আছে এমন কারো সাথে পায়ুপথে মিলন ও মুখ গহ্বরে মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করা উচিৎ।